প্রেমের জোয়ারে
১৯৮৯ র ফাল্গুন, ২৩য়ের উদ্ভিন্নযৌবনা ,
অষ্টমঙ্গলা সেরে মধুচন্দ্রিমা...
সুদূর ডালাসে পাড়ি দেওয়া,
অপরিচিত, অজানা অথচ অতি কাছের
জীবনের প্রথম প্রেমিকের সাথে,
বহু প্রতীক্ষিত বায়ুপথে ভ্রমণ..
বিমানবন্দর থেকে একে একে চোখের বাইরে চলে গেল
মা, বাবা আর ভাইয়ের ছলছল চোখ,
চোখে তখন আনন্দাশ্রু,
নিমেষে কষ্ট উধাও..
হাত ধরল কাছের মানুষটি,
অনাবিল আনন্দে হারিয়ে গেল তারা ।
বিশ্বভরা প্রাণ
আমেরিকার মাটিতে পা দিয়েই মনে হল
ঈশ্বরের আশীর্বাদ ধন্য এই দেশ,
কত সুন্দর সৌজন্যবোধ মানুষের, সুন্দরের সত্য পূজারী তারা,
তারা কত রুচিশীল, সত্যিই তারা গড়তে জানে নিজেদের
আর ভালবাসে তাদের দেশকে,
রক্ষা করতে পারে ভগবানের সৃষ্টিকে,
আর নিজেদের সৃজনশীলতাকে বিকশিত করে,
উজাড় করে দিতে পারে বিশ্বের দরবারে;
তুমি বলবে কৃত্রিমতা এ শতাব্দীর অভিশাপ
কৃত্রিমতা যদি উন্নতি ঘটায় তাহলে বাধা কোথায়?
বিজ্ঞান যদি কাজের বন্ধু হয় তাহলে আপত্তি কিসে ?
সৃষ্টিসুখের উল্লাসে আমরা বাঁচিনা একটু সহজ করে, সাবলীল ভাবে!
আসলে যে দেশের নাগরিকের চিন্তাধারা সুস্থ, যারা সভ্যতায় পরিপুষ্ট,
বিধাতাপুরুষ বোধ হয় দুহাত তুলে তাদের আশীর্বাদ করেন..
প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য্যে, প্রাকৃতিক জলবায়ুর মিষ্টতায়
সে দেশের মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে রোজ তারা প্রণাম জানায় নিজের দেশমাতৃকাকে|
ভোরবেলা কিচেনের ব্লাইন্ডস সরিয়ে
ক্লিফব্রুক কন্ডোমিনিয়ামসের পার্কিং লটে তাকিয়ে থাকা
সার সার গাড়ির ছাদে দুধসাদা বরফের চাদর
তার সাথে সূর্যের আলোর মাখামাখি,
সেই জানলা দিয়েই রোজ বাই করা,
২৭য়ের সুপুরুষ ম্যানেজমেন্ট স্কুলে তখন,
দুপুরবেলা বান্ধবীদের সাথে শপিংমলের হাতেখড়ি
একরাশ বিদেশী পারফিউমের গন্ধ নিয়ে ফিরে আসা,
বিকেল হলেই নতুন জলখাবার তৈরী আর প্রতীক্ষা...
তারপর রোজ চোখ রেখেছে অপার বিস্ময়ে,
কখনো ডালাস ডোমের মাথায় গরম কফি হাতে,
কখনো টাইলার রোজ গার্ডেনের গোলক ধাঁধায়,
কখনো নেচে উঠেছে তার প্রাণ টার্নার ঝোরার ধারে,
গুহার ভেতর জাপটে ধরেছে তার সঙ্গী মনের মানুষটিকে,
গেয়ে উঠেছে মুক্তির আনন্দে, নেচে উঠেছে ঝোরার জলের ছন্দে,
ল্ংড্রাইভে এল্.বি.জে এক্সপ্রেস ওয়ের ওপর
কতবার ছুটেছিল তাদের সাদা মাজদা ৬২৬
খোলাচুল উড়ে এসে পড়েছিল তার প্রিয় পুরুষটির কাঁধে
ডালাসের ফাগুনে সেদিন ছিল প্রেমের আগুণ, প্রাণের মূর্ছনা
রিচার্ডসনের রাস্তা, প্লেনোর পথঘাট সে ফাগুনে দেখেছিল নতুন বসন্ত (ক্রমশঃ)
১৯৮৯ র ফাল্গুন, ২৩য়ের উদ্ভিন্নযৌবনা ,
অষ্টমঙ্গলা সেরে মধুচন্দ্রিমা...
সুদূর ডালাসে পাড়ি দেওয়া,
অপরিচিত, অজানা অথচ অতি কাছের
জীবনের প্রথম প্রেমিকের সাথে,
বহু প্রতীক্ষিত বায়ুপথে ভ্রমণ..
বিমানবন্দর থেকে একে একে চোখের বাইরে চলে গেল
মা, বাবা আর ভাইয়ের ছলছল চোখ,
চোখে তখন আনন্দাশ্রু,
নিমেষে কষ্ট উধাও..
হাত ধরল কাছের মানুষটি,
অনাবিল আনন্দে হারিয়ে গেল তারা ।
বিশ্বভরা প্রাণ
আমেরিকার মাটিতে পা দিয়েই মনে হল
ঈশ্বরের আশীর্বাদ ধন্য এই দেশ,
কত সুন্দর সৌজন্যবোধ মানুষের, সুন্দরের সত্য পূজারী তারা,
তারা কত রুচিশীল, সত্যিই তারা গড়তে জানে নিজেদের
আর ভালবাসে তাদের দেশকে,
রক্ষা করতে পারে ভগবানের সৃষ্টিকে,
আর নিজেদের সৃজনশীলতাকে বিকশিত করে,
উজাড় করে দিতে পারে বিশ্বের দরবারে;
তুমি বলবে কৃত্রিমতা এ শতাব্দীর অভিশাপ
কৃত্রিমতা যদি উন্নতি ঘটায় তাহলে বাধা কোথায়?
বিজ্ঞান যদি কাজের বন্ধু হয় তাহলে আপত্তি কিসে ?
সৃষ্টিসুখের উল্লাসে আমরা বাঁচিনা একটু সহজ করে, সাবলীল ভাবে!
আসলে যে দেশের নাগরিকের চিন্তাধারা সুস্থ, যারা সভ্যতায় পরিপুষ্ট,
বিধাতাপুরুষ বোধ হয় দুহাত তুলে তাদের আশীর্বাদ করেন..
প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য্যে, প্রাকৃতিক জলবায়ুর মিষ্টতায়
সে দেশের মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে রোজ তারা প্রণাম জানায় নিজের দেশমাতৃকাকে|
পর্ব ২
ধরা দিয়েছি গো ভোরবেলা কিচেনের ব্লাইন্ডস সরিয়ে
ক্লিফব্রুক কন্ডোমিনিয়ামসের পার্কিং লটে তাকিয়ে থাকা
সার সার গাড়ির ছাদে দুধসাদা বরফের চাদর
তার সাথে সূর্যের আলোর মাখামাখি,
সেই জানলা দিয়েই রোজ বাই করা,
২৭য়ের সুপুরুষ ম্যানেজমেন্ট স্কুলে তখন,
দুপুরবেলা বান্ধবীদের সাথে শপিংমলের হাতেখড়ি
একরাশ বিদেশী পারফিউমের গন্ধ নিয়ে ফিরে আসা,
বিকেল হলেই নতুন জলখাবার তৈরী আর প্রতীক্ষা...
তারপর রোজ চোখ রেখেছে অপার বিস্ময়ে,
কখনো ডালাস ডোমের মাথায় গরম কফি হাতে,
কখনো টাইলার রোজ গার্ডেনের গোলক ধাঁধায়,
কখনো নেচে উঠেছে তার প্রাণ টার্নার ঝোরার ধারে,
গুহার ভেতর জাপটে ধরেছে তার সঙ্গী মনের মানুষটিকে,
গেয়ে উঠেছে মুক্তির আনন্দে, নেচে উঠেছে ঝোরার জলের ছন্দে,
ল্ংড্রাইভে এল্.বি.জে এক্সপ্রেস ওয়ের ওপর
কতবার ছুটেছিল তাদের সাদা মাজদা ৬২৬
খোলাচুল উড়ে এসে পড়েছিল তার প্রিয় পুরুষটির কাঁধে
ডালাসের ফাগুনে সেদিন ছিল প্রেমের আগুণ, প্রাণের মূর্ছনা
রিচার্ডসনের রাস্তা, প্লেনোর পথঘাট সে ফাগুনে দেখেছিল নতুন বসন্ত (ক্রমশঃ)
No comments:
Post a Comment