এখন যে আই-আই-টি খড়গপুরকে আমরা দেখি প্রাক স্বাধীনতার যুগে সেখানে ছিল হিজলী জেল ।
আই-আই-টি ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে দক্ষিণদিকে যাত্রা করলে হিজলি ফরেস্ট শুরু হয় ।
শীতের রোববারের সকালে এই অরণ্যের হাত ধরে, কেশিয়াড়ি হয়ে ঘুরে আসা যায় ভসরাঘাট| সুবর্ণরেখা নদীর ধবধবে সাদা, মসৃণ ও রোদের আলোয় চিকচিকে বালির চরে হেঁটে নদীকে ছুঁয়ে দেখে আসা যেতেই পারে ।
নদী দেখে ফেরার পথে বেলদার রাস্তায় ২ কিলোমিটার গেলে পড়বে কুকাই গ্রাম । সেখান থেকে আরো ২ কিলোমিটার গেলে পড়বে গগনেশ্বর গ্রামে কুরুম্ভেরা দুর্গ । পুরাতাত্মিক মনুমেন্ট হিসেবে স্বীকৃত এই ফোর্টটি সত্যি সত্যি এখনো স্বমহিমায় তার রাজকীয়তা বজায় রেখেছে ।
পশ্চিম মেদিনীপুরে যে এত অভিনব একটি স্থাপত্য আছে তা হয়ত অনেকেরই জানা নেই ।
কোলকাতার অনতিদূরে এমন একটি জায়গা আছে । কোলকাতায় আছে অনেক সৃষ্টিশীল মানুষ । কিন্তু কোনারক আর খাজুরাহে হয় ডান্স ফেষ্টিভাল কিন্তু কুরুম্ভেরাতেও তো হতে পারে ! আমার এখানে গিয়ে কেবলই মনে হতে লাগল সে কথা । আমার মনের ক্যামেরায় ধরা রইল সেই রাজকীয় দুর্গের ছবি !
No comments:
Post a Comment